ডায়েরীর পাতা থেকে কবিতা ২

আরো একটি কবিতা (আদৌ কোন সাহিত্যগুণ আছে কিনা জানিনা) দিতে যাচ্ছি, কবিতাটি দেয়ার আগে যেটা জানাতে চাই তা হলো এই কবিতাটি আজ হতে ১৪ বছর আগে ১৯৯৭ সালের জুলাই মাসের ৩ তারিখে এক বর্ষণসিক্ত রাতে লেখা হয়েছিল, যখন আমি কলেজের ছাত্র ছিলাম। কোন রকম পরিমার্জন ছাড়াই এখানে তুলে দিলাম।

বর্ষণসিক্ত সুপ্তবাসনা

আকাশে ছোট বড় নানা রঙের মেঘেরা করছে খেলা,
দেখে দেখে কাটছে সময়, সাথে বাড়ছে বেলা –
জানালার ধারে একা বসে বাইরে চেয়ে আছি আমি;
এলোমেলো মনের ভাবনাগুলো শুনছে কেবল অন্তর্যামী।
সূর্য় নেই আকাশে তাই সবকিছু ছায়াহীন,
কতদিন দেখিনি এমন বৃষ্টিভেজা ঝড়োদিন,
ঐ দিগন্ত থেকে আসছে ধেয়ে কালো মেঘ;
সাথে বাড়ছে বৃষ্টি, বাড়ছে হাওয়ার বেগ।

হঠাৎ দমকা হাওয়া ভিজিয়ে দিয়েছে মোর জানালা,
আলোর ঝলকানির সাথে তীব্র বাজ কানে লাগাচ্ছে তালা,
মাঠের সবুজ ঘাস ভিজে হয়ে গেছে একাকার;
কবিদের পড়ে গেছে তাড়া কবিতার ছন্দ মিলাবার।
তবু আমি বসে আছি একা নিরুত্তাপ শূণ্য হাতে;
হয়তো একটা নতুন তারা আজ জ্বলবে এই রাতে –
তবুও সেই তারা আজ দেবেনা ধরা আমার দৃষ্টিতে,
যদিও আকাশের মেঘ পাঠাচ্ছে বৃষ্টি এই সৃষ্টিতে।

বর্ষণসিক্ত ফুলগুলো সব ছড়াচ্ছে অদ্ভুত দ্যুতি,
ঝরাপাতাগুলো দমকা বাতাসে যেন খাচ্ছে লুটোপুটি –
করুণ দৃষ্টি মেলে জবুথবু বসে আছে ভেজা কাক,
পাখিরা নির্বাক, চারিদিকে শুধু মেঘের গুড়ুগুড়ু ডাক;
মনের সুপ্তবাসনাগুলো স্মৃতিপটে দোলা দিয়ে যায়,
বাসনাগুলো উদগ্রীব হয়ে অন্য মনের ছোঁয়া পেতে চায়।
না বলা কথাগুলো বাণী হয়ে বেরিয়ে আসে মুখে-
অদেখা স্বপ্নগুলো গভীর ভালোবাসা জাগায় এ বুকে;
তবুও ঘোরের মাঝে পড়ে একটা দীর্ঘশ্বাস,
তবে কি বর্ষার সা্থে আমার একাকীত্বের বসবাস?

আগের কবিতার লিংক

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *